অনলাইনে ঘরে বসে আয় করার অনেক উপায় আছে। আপনার যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে ঘরে বসেই খুব সহজে কিছু টাকা উপার্জন করতে পারবেন। সম্প্রতি সময়ে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করার মাধ্যম গুলির মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো YouTube এ ভিডিও আপলোড করে টাকা আয়। আপনিও খুব সহজেই YouTube থেকে টাকা উপার্জন করতে পারেন। আজ আমরা আপনাকে দেখাবো কিভাবে YouTube থেকে খুব সহজে টাকা উপার্জন করবেন।
তবে এই ক্ষেত্রে ভিডিও তে অবশ্যই ভালো মানের ভিসিটর থাকতে হবে আর এভাবে লিঙ্ক দিয়ে আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইট বা ওয়েব ব্লগেও প্রচুর পরিমান ট্রাফিক আনতে পারেন।
2. Youtube account
3. Google Adsense Account (১৮ কিংবা তার বেশি বয়স হতে হবে)
4. Computer বা Mobile বা অন্য কিছু, যার দ্বারা আপনি Youtube-এ ঢুকবেন ।
5. Regular Video Upload
এখন আমরা ধাপে ধাপে কাজগুলো শিখে নিবঃ
Account-এ প্রথমে Sign in করুন । এরপর উপরে দেখুন UPLOAD লেখা আছে । সেখানে ক্লিক করে Video Upload করুন ।
যেই বিষয়গুলো মনে রাখবেনঃ
এটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।
হ্যাঁ, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । আপনি Youtube-এর Partner হলে কিছু এক্সট্রা Facility পাবেন, যা আপনার আয় বাড়িয়ে দিতে বড় ভুমিকা রাখতে পারে।
কিভাবে পার্টনার হবেন দেখুন।
প্রথমেই Google adsense-এর কথা বলেছিলাম । ওরা আপনার বয়স বেঁধে দিয়েছে, যার জন্য ১৮ কিংবা তার চেয়ে কমবয়সীরা Allowed না ।
যাইহোক, Google Adsense সেটআপ এর কথা আজ বলব না, টেকটিউনসে এই বিষয় নিয়ে অনেক ভাল ভাল টিউন আছে ।
YouTube থেকে আয় এবং Channel তৈরী ও Google AdSense আবেদনের বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখুন
ভিডিও তৈরীর জন্য আপনি দুটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন। প্রথমটি হলো ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও তৈরি করে YouTube এ আপলোড এবং ২য়টি হলো কম্পিউটারের সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও Editing এর মাধ্যমে ভিডিও তৈরি করে করে YouTube এ আপলোড। তবে ভিডিও তৈরির আগে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, আপনার ভিডিওটি অবশ্যই মজাদার বা শিক্ষনীয় ও ভালো মানের হতে হবে। কারও কোন ভিডিও নকল করে কিংবা সামান্য পরিবর্তন করে কাজটি করা যাবে না। তাহলে আপনি YouTube এর কাছে কপিরাইটের দায়ে পেসে যেতে পারেন।
বাংলাদেশ থেকে কি আয় করা সম্ভবঃ এ বিষয়টি নিয়ে লেখার আগে আমি অনেক বাংলা সাইট Research করে দেখেছি। বিভিন্ন জন তাদের সাইটে বিভিন্ন চাতুরীর কথা লিখেছেন যে, কিভাবে বাংলাদেশ হতে YouTube এর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে হয়। আসলে YouTube এর মাধ্যমে এখনো বাংলাদেশ থেকে টাকা উপার্জন করা সম্ভব নয়। কারণ বাংলাদেশে এখনো YouTube Monetization সাপোর্ট দিচ্ছে না। সে জন্য যে যতই চাতুরীর কথা বলুক না কেন সাধারণ কোন Channel দিয়ে ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করা অাদৌ সম্ভব নয়। তবে আপনি যদি আপনার YouTube Channel টিকে ভালমানের একটি Channel হিসেবে YouTube এর কাছে প্রমান করতে পারেন তাহলে YouTube আপনাকে তাদের নিজে থেকে Monitization এর জন্য অফার করবে। কেবল তখনই আপনি বাংলাদেশ থেকে YouTube এর মাধ্যমে অনলাইন হতে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
YouTube থেকে আয় এবং Channel তৈরী ও Google AdSense আবেদনের বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখুন
ইউটিউব থেকে আয় করার ৫ টি উপায়
১. ইউটিউব থেকে আয় করুন অ্যাডসেন্স দিয়ে
এটাই ইউটিউব থেকে আয় করার সবথেকে জনপ্রিয় এবং বড় মাধ্যম। আমরা সকলেই জানি যে ইউটিউব হচ্ছে গুগল এর একটি সেবা। আবার গুগল অ্যাডসেন্স ও গুগলের। তাই ইউটিউব এর ব্যাপারে গুগলের প্রাধান্য অনেক। এমনকি আপনি মাত্র কয়েকটা ছোট ছোট ভিডিও দিয়েই একটি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট এপ্রুভ করাতে পারবেন। আর সবথেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার জন্য ইউটিউব হচ্ছে অন্যতম সহজ একটি পদ্ধতি। সেরা আর্নাররা শুধুমাত্র ইউটিউব অ্যাডসেন্স ব্যাবহার করে মাসে কয়েক লক্ষ ডলার পর্যন্ত আয় করে থেকে!২. নিজের পণ্য বিক্রি করে
ধরুন আপনার নিজের একটা ফ্যাশন হাউজ আছে। এখন আপনি যদি নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ডজ সম্পর্কে কিছু ভিডিও তৈরি করেন এবং সাথে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে কিছুটা রিভিও যুক্ত করে আপলোড করেন তবে ইউটিউব হতে পারে আপনার নিজের পণ্য মার্কেটিং এর সবথেকে বড় মাধ্যম। এখন আপনি বলতে পারেন যে এভাবে কত জনই বা কিনতে পারে। কিন্তু আপনি জানেন কি ইউটিউব এ আপনি কি পরিমান ভিসিটর পেতে পারেন? যেকোনো বিষয়ের উপর ভিডিও গুলোর ভিউ থেকে আপনি সহজেই তা বুজতে পারবেন। আর সবথেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে ওয়েব সার্চ এর তাবৎ ক্রয়যোগ্য (অর্থাৎ যে কীওয়ার্ড গুলো দিয়ে মানুষ কোন প্রোডাক্ট কিনার জন্যই সার্চ করে) সার্চের বেশিরভাগটাই ইউটিউবে হয়। মানে কেউ কোন পণ্য কিনার জন্য মন স্থির করলে সেই পণ্য সম্পর্কে জানতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইউটিউব ভিডিওই দেখে থাকে।৩. এফিলিয়েট প্রোডাক্ট এর রিভিউ করে
এটি ইউটিউব ব্যাবহারের আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এই ক্ষেত্রে মানুষ আমাজন বা অন্য কোন এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক এর পণ্যের এফিলিয়েশন করে থাকে। সাধারনত নিজের এফিলিয়েট লিঙ্ক ভিডিও এর ডেসক্রিপশনে দিয়ে দেওয়া হয় এবং ভিডিও তে সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে রিভিও প্রদান করা হয়। সেই ভিডিও থাকাকালীন কেউ যদি ঐ লিঙ্কের মাধ্যমে গিয়ে কোন পণ্য ক্রয় করে থাকে তবে এফিলিয়েটর কমিশন পায়। এইভাবে এফিলিয়েশন করলে খুবই কম খরচে বা বিনা খরচে আপনি সহজেই মাস গেলে অনেক টাকা কামিয়ে নিতে পারবেন।৪. ইউটিউব এর পার্টনার হোন
বর্তমানে পৃথিবী ব্যাপী প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি ইউটিউব পার্টনার আছেন। পার্টনাররা ভাড়ার ভিত্তিতে ভিডিও অভারলেয় করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে এবং আয় ইউটিউব এর সাথে ভাগাভাগি করে নেয়। তাদেরদে অনেক সময় ব্রান্ডদের এন্টারটেইনার বা ভিডিও মার্কেটার হিসেবে হায়ার করাও হয়ে থাকে। অনেক সময় একটা ব্রান্ডের জন্য বিশেষ ভিডিও তৈরি করেও এরা অনেক টাকা উপার্জন করে।৫. আপনার ভিডিওর ডেসক্রিপশনে লিঙ্ক বিক্রি করুন
এটা অনেক মজার একটা আয়। ধরুন যেকোনো বিষয়ের উপর আপনার একটা ভিডিও ইউটিউব এ প্রথম দিকে আছে। এই মুহূর্তে এই ধরনের প্রোডাক্ট যাদের আছে আপনি চাইলেই তাদের কাছে এককালীন অথবা দীর্ঘমেয়াদী শর্তে একটা লিঙ্ক বিক্রি করতে পারেন যা আপনার ভিডিও এর ডেসক্রিপশনে থাকবে। কয়েকটা ভিডিও তে এসইও করেই আপনি এইভাবে লিঙ্ক বিক্রি শুরু করতে পারেন।তবে এই ক্ষেত্রে ভিডিও তে অবশ্যই ভালো মানের ভিসিটর থাকতে হবে আর এভাবে লিঙ্ক দিয়ে আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইট বা ওয়েব ব্লগেও প্রচুর পরিমান ট্রাফিক আনতে পারেন।
যা যা লাগবেঃ
1. Camera2. Youtube account
3. Google Adsense Account (১৮ কিংবা তার বেশি বয়স হতে হবে)
4. Computer বা Mobile বা অন্য কিছু, যার দ্বারা আপনি Youtube-এ ঢুকবেন ।
5. Regular Video Upload
এখন আমরা ধাপে ধাপে কাজগুলো শিখে নিবঃ
YouTube Account তৈরি
- Youtube -এ প্রথমে Account খুলুন । যদি আগে থেকেই Account থাকে তবে ওটাই ব্যবহার করতে পারেন ।
- আপনার Channel খুঁজে পেতে Keyword ব্যবহার করুন ।
- আপনার Account-এর সঠিক ধরণ নির্বাচন করুন । (যেমনঃ যদি Movie নিয়ে কাজ করেন Director Account দিন )
- Username অবশ্যই ছোট রাখুন, এতে দর্শক মনে রাখতে পারবে।
Video Upload করা
Account-এ প্রথমে Sign in করুন । এরপর উপরে দেখুন UPLOAD লেখা আছে । সেখানে ক্লিক করে Video Upload করুন ।
যেই বিষয়গুলো মনে রাখবেনঃ
- Video Quality যেন ভাল হয় (আমি বলতে চাইছি, আলতু-ফালতু Video দিবেন না)
- Video যেন খুব বেশি বড় না হয়
- Account Type-এর দিকে লক্ষ রেখে Video upload করবেন ।
- ভাল Software-এর সাহায্যে Video Edit করলে ভাল হয় ।
দর্শক বাড়ান
এটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।
- Youtube-এ কিছু Friend তৈরি করে ফেলুন ।
- দর্শকদের কমেন্ট করতে বলুন ।
- নিজে কমেন্টের Reply দিন ।
Youtube-এর Partner হয়ে যান
হ্যাঁ, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । আপনি Youtube-এর Partner হলে কিছু এক্সট্রা Facility পাবেন, যা আপনার আয় বাড়িয়ে দিতে বড় ভুমিকা রাখতে পারে।
কিভাবে পার্টনার হবেন দেখুন।
Google Adsense
প্রথমেই Google adsense-এর কথা বলেছিলাম । ওরা আপনার বয়স বেঁধে দিয়েছে, যার জন্য ১৮ কিংবা তার চেয়ে কমবয়সীরা Allowed না ।
যাইহোক, Google Adsense সেটআপ এর কথা আজ বলব না, টেকটিউনসে এই বিষয় নিয়ে অনেক ভাল ভাল টিউন আছে ।
কিভাবে এই আয় বাড়াবেনঃ
- ভিডিওটির বর্ণনা দেয়াঃ নতুন ভিডিও আপলোড করার পর সাথে সাথে ভিডিওটি সম্পর্কে তার নিচে বর্ণনা দিয়ে দেবেন। তাহলে YouTube সহজে আপনার ভিডিওটি সম্পর্কে ধারনা পেয়ে যাবে। এতেকরে YouTube নির্ধারিত টপিক অনুযায়ী ভিজিটদের কাছে ভিডিওটি পৌছে দেবে।
- নিয়মিত ভিডিও তৈরীঃ নিয়মিত নিত্য নতুন ভালমানের ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনার Channel টির Viewer বাড়তে থাকবে। আর Viewer বাড়া মানেই হচ্ছে আপনার আয় বেড়ে যাওয়া।
- ভিডিও শেয়ার করাঃ ভিডিও পাবলিশ করার পর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, যেমন-ফেইসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস ইত্যাদি সাইটগুলিতে আপনার ভিডিও শেয়ার করতে পারেন।
- ব্যাক লিংক তৈরীঃ আপনি যে বিষয় নিয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল বা ভিডিও তৈরী করছেন এরকম অন্য জনপ্রিয় সাইটগুলিতে আপনার ভিডিওটির লিংক দিয়ে দিতে পারেন। এতে করে সেখান থেকেও আপনার সাইটে প্রচুর ভিজিটর পেয়ে যাবেন।
কিছু কথা
- কিছু দর্শক খারাপ মন্তব্য করবেই, এতে ভেঙে পড়বেন না ।
- প্রথম প্রথম ভাল আয় হবে না । এতে ভিডিও আপলোডের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলবেন ?? না, কখনই না।
YouTube থেকে আয় এবং Channel তৈরী ও Google AdSense আবেদনের বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখুন