২০০৭ সালে স্টিভ জবস যখন আইফোন উদ্বোধন করেছিলেন (আইফোন টুজি), তা মোবাইল ফোন বাজারের সব সূত্র ভেঙে ফেলেছিল। সাড়ে তিন ইঞ্চি মাপের টাচস্ক্রিনযুক্ত ওই ফোনে মাল্টিটাস্ক করার সুবিধা ছিল। এজ, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথসহ অ্যাপলের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেমের ওই ফোন প্রযুক্তি বিশ্বে তাক লাগিয়েছিল। টাইম ম্যাগাজিন ওই বছর ‘সেরা উদ্ভাবন’ তকমা দিয়েছিল আইফোনকে।
এরপর আস্তে আস্তে স্মার্টফোনের সংজ্ঞা হিসেবে টাচস্ক্রিন, ইন্টারনেট সুবিধা ও বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন খাকার বিষয়টি নির্ধারিত হয়ে যায়। গত এক দশকে আইফোনের মতো করে বাজার কাঁপিয়ে দেওয়ার মতো কোনো স্মার্টফোন মডেল আর বাজারে আসেনি। তারপর থেকে স্মার্টফোনের দুনিয়ায় বেশ কিছু নতুন প্রযুক্তি আলোর মুখ দেখেছে। এর মধ্যে আছে আইওএসের প্রতিদ্বন্দ্বী গুগলের অ্যান্ড্রয়েড, বুদ্ধিমান ব্যক্তিগত সহকারী সফটওয়্যার (সিরি, গুগল নাউ) ও বাঁকানো স্ক্রিন (এলজি-জিফ্লেক্স, গ্যালাক্সি এস ৬ এজ)। অবশ্য বর্তমান স্মার্টফোনগুলো প্রায় একই রকম।
তবে পুরোপুরি ভাঁজ করে ঘড়ির মতো হাতে পরার স্মার্টফোন আসতে এখনো দেরি আছে। চীনের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লেনোভোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে বাজারে আসবে হাতে ঘড়ির মতো ব্যবহার করা যায় এমন স্মার্টফোন। গত বছরের জুন মাসে লেনোভো টেক ওয়ার্ল্ড অনুষ্ঠানে এ স্মার্টফোনের প্রটোটাইপ দেখিয়েছিল লেনোভো। এ ধরনের স্মার্টফোন বাজারে এলে স্মার্টওয়াচের আর কি দরকার হবে?
স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে আরেকটি বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যাবে হোম বাটন নিয়ে। এ বাটন হয়তো অনেক স্মার্টফোনে থাকবে না। বিভিন্ন সেনসর যুক্ত করে বাটনবিহীন ফোন তৈরি হবে।
ভবিষ্যতের স্মার্টফোনগুলো হবে ইউনিভার্সাল রিমোট, যা দিয়ে বাড়ির সব ডিভাইস বা যন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। অর্থাৎ, স্মার্টফোন হয়ে উঠবে আরও আধুনিক ও জীবনঘনিষ্ঠ। তথ্যসূত্র: এএফপি।