♦ Live wallpaper ব্যবহার করবেন না। মোবাইলে Home screen -এ বেশি apps রাখবেন না। Battery Saver apps ব্যবহার না করাই ভালো। এটা ব্যবহারে বেশী একটা কাজ হয় না। তবে ভালো apps থাকতে পারে।
♦ সত্যি কথা বলতে কি দ্রুত স্মার্টফোনে চার্জ দিতে ইউএসবি এডপটরের জুড়ি নেই। আপনার মোবাইল সর্বোচ্চ যত অ্যাম্পিয়ারের এডপটরের শক্তি গ্রহন করতে পারবে সেটি ব্যবহার করুন। হতে পারে সেটা ০.৫ অ্যাম্পিয়ার কিংবা ২.১ অ্যাম্পিয়ার। এ ব্যাপারের আগেই সুনিশ্চিত হয়ে নিবেন যে আপনার স্মার্টফোনটি সর্বোচ্চ কত অ্যাম্পিয়ার গ্রহনে সক্ষম। নতুবা, হিতে বিপরীত হতে পারে।
♦ আমার স্মার্টফোনে সচল থাকা দারুন দারুন ফিচারগুলোই আপনার মোবাইলের চার্জ শেষ করতে যথেষ্ট। বিশেষ করে, ওয়াই ফাই। জরুরী দরকারে কম সময়ে মোবাইল চার্জে দিলে অবশ্যই মোবাইলটি ফ্লাইং/অ্যারোপ্লেন মোডে রাখবেন। দ্রুত চার্জ হবে। আর যদি খুব বেশি দরকারী কোন কল বা ম্যাসেজের অপেক্ষায় থাকেন তবে অন্তত মোবাইল ডেটা আর ওয়াই ফাই ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
♦ ব্যাটারীর আয়ু ১৫-৩০% থাকলে চার্জ দিবেন এর আগে ও পরে চার্জ দিবেন না আবার অনেক পর পর চার্জ ইচ্ছা করে ১০% পর্যন্ত নেমে আনবেন এবং ফুল চার্চ দিবেন তাতে আপনার ব্যাটারীর লাইফ দীর্ঘ হবে ।কখনো চার্জ দিয়ে মোবাইল চালাবেন না ,তাহলে মোবাইলের ব্যাটারির উপর প্রভাব পড়বে। আর কখনওই একবারে চার্জ শেষ করবেন না বা অতিরিক্ত চার্জ দিবেন না নাহলে ব্যাটারির উপর খারাপ প্রভাব পড়বে ।
♦ আপনার ব্যবহার করা apps গুলো যদি রানিং থাকে তাহলে সেগুলো বন্ধ করে দিবেন। আপনার মোবাইলে settings →Application→running Application… যাবেন আর মোবাইলের কিছু অপ্রয়োজনীয় apps running এ থাকলে সেগুলো বন্ধ করে দিবেন এবং অপ্রয়োজনীয় Apps গুলো কে Force Stop করে রাখুন, এতে করে যে Apps আপনার দরকার নেই সেগুলোর চার্জ যাবে না। । তারপর মোবাইল বন্ধ করে খুলুন তাহলেই কাজ হবে।
♦ কোন apps কে হোম বাটন টিপ দিয়ে বের হবেন না । আপনি exit করে বের হবেন কারন অনেক ক্ষেত্রেই অ্যাপটি মিনিমাইজ করে রাখা হলেও নেপথ্যে প্রসেসিং চলতে থাকে।কিছু অ্যাপ ইন্টারনেটে যুক্ত থেকে ডেটা আদান-প্রদানও করতে থাকে তাই মোবাইলের চার্জ দ্রত শেষ হয়। । অথচ এই সময়ে অ্যাপটি ব্যবহূত হচ্ছে না। ব্যবহার শেষ হলে অ্যাপটি বন্ধ রাখা উচিত।
♦ মোবাইলের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে পরিমান মতো রাখুন। তবে স্মার্টফোনের পর্দার ব্রাইটনেস বা ঔজ্জ্বল্য কমিয়ে রাখা ভালো। খুব বেশী দরকার না হলে ভাইব্রেশন ব্যবহার করবেন না। ভাইব্রেশনের কারণে দ্রুত চার্জ ফুরায়।
♦ ওয়াইফাই, জিপিআরএস/এজ, জিপিএস, অটো রোটেশন, ব্লুটুথ সবসময় অন করে রাখবেন না, কাজ শেষ হলে বন্ধ রাখুন। কারণ, এই সংযোগগুলো চালু থাকলে এই অপশন গুলো নিকটবর্তী সংযোগ উৎসটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। আর এই সময় প্রচুর পরিমানে চার্জ খরচ হয়।
♦ ই-মেইল, ফেসবুক, গুগল প্লাস, টুইটারসহ আরও নানা ধরনের আপস-এ ‘ অটো নোটিফিকেশন’ নামের একটি অপশন চালু থাকলে মোবাইল ফোনটি নির্দিষ্ট সময় পর পর সার্ভার থেকে নতুন তথ্য বা বার্তা সংগ্রহ করে। ফলে আপনি ব্যবহার না করলেও ফোনটি নিজের মতো করে কাজ করবে, আর তাতে প্রচুর চার্জ যাবে।
স্মার্টফোনে জিপিআরএস/এজ, থ্রিজির তুলনায় তারহীন ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট অনেক ভালো। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ওয়াই-ফাই ব্যবহারের সময় অন্যান্য প্রযুক্তির ইন্টারনেট ব্যবহারের চেয়ে কম স্মার্টফোনের চার্জ খরচ হয়। সম্ভব হলে ওয়াই ফাই এর সাথে যুক্ত হতে পারেন।
♦ ব্যবহার করা না হলে ফোনটি লক করে রাখবেন কারন ফোন লক করা না থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু সেবা চলতে থাকে এবং এতে ব্যাটারি খরচ হয়। আর লক করে রাখার আরও একটি সুবিধা হলো, ভুলবশত পর্দায় চাপ পড়ে কোথাও কল যাবে না বা কোনো অ্যাপ খুলবে না।
বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বেশী তাপমাত্রায় ফোন ব্যবহার করবেন না এবং অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম স্থানে মোবাইল ফোন রাখবেন না। সুবিধাজনক তাপমাত্রায় না থাকলে মোবাইল ফোনের চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায় এবং ফোনটি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সাধারণত সব মোবাইল ফোনের জন্য সুবিধাজনক তাপমাত্রা হলো ০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
♦ দ্রুত স্মার্টফোনের চার্জ এর জন্য দেওয়ালের সকেট ব্যাবহার করুন। নিঃসন্দেহে সেগুলো ল্যাপটপ বা মাল্টিপ্লাগ থেকে কম সময়ে আপনার স্মার্টফোনকে বেশি চার্জ প্রদান করবে। আপনার স্মার্টফোনের জন্য ইউএসবি এডপটার না থাকলে আজই কিনে ফেলুন। খুব বেশি দাম নয় কিন্তু। এই জিনিস আপানার মোবাইলকে দ্রুত চার্জ পেতে সাহায্য করবে।
এভাবে উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে আপনার স্মার্টফোনের চার্জ বাঁচাতে পারবেন, ফলে সেটি বেশিক্ষন ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করি আমার এই লেখাটি কাজে লাগবে। ভাল-মন্দ-খারাপ যেমনই হোক না কেন? তা অবশ্যই আমকে মন্তব্য করে জানাবেন। ভাল লাগলে শেয়ার করবেন।
খোদা হাফেজ।