প্রার্থীদের সকাল ০৯.০০ টায় নিজ নিজ বিভাগে শারীরিক মাপ ও পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। প্রাথমিক শারীরিক মাপ ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আগামী ১২ জানুয়ারী হতে ১৪ জানুয়ারী সকাল ১০ টায় লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
প্রার্থীর যোগ্যতা :
বয়স: সাধারণ/অন্যান্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ০১/১১/২০১৬ তারিখে বয়স হতে হবে ১৯ থেকে ২৭ বছর (জন্ম তারিখ সর্বনিম্ন ০২/১১/১৯৯৭ হতে সর্বোচ্চ ০২/১১/১৯৮৯ খ্রি. এর মধ্যে জন্ম)।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে ০১/১১/২০১৬ তারিখে ১৯ হতে ৩২ বছর হতে হবে (জন্ম তারিখ সর্বনিম্ন ০২/১১/১৯৯৭ হতে সর্বোচ্চ ০২/১১/১৯৮৪ খ্রি. এর মধ্যে জন্ম)।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় হতে নূন্যতম স্নাতক ডিগ্রির অধিকারী এবং কম্পিউটারে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে।
শারীরিক মাপ: সাধারণ ও অন্যান্য কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, বুকের মাপ স্বাভাবিক ৩০ ইঞ্চি এবং সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি হতে হবে। নারী প্রার্থীদের সকল কোটা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি।
ওজন, বয়স ও উচ্চতার সাথে ওজন অনুমোদিত পরিমাপের হতে হবে।
শারীরিক মাপ ও পরীক্ষাঃ বিধি মোতাবেক শারীরিক মাপে উপযুক্ত প্রার্থীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি যাচাই করে প্রাথমিকভাবে সঠিক প্রতীয়মান হলে উক্ত প্রার্থীকে শারীরিক পরীক্ষায় (দৌড়, জাম্পিং ও রোপ ক্লাইমিং) অংশগ্রহণ করতে হবে।
শারীরিক মাপ ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণকালে সঙ্গে যা যা আনতে হবে-
১। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/সাময়িক সনদপত্রের মূল কপি।
২। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার মেয়র/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক স্থায়ী নাগরিকত্বের সনদপত্রের মূল কপি।
৩। প্রার্থীর জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল কপি (যদি না থাকে মাতা/পিতার পরিচয় পত্রের মূল কপি)।
৪। সরকারী গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত ৩ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গীন ছবি।
৫। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে পিতা/মাতা/পিতামহ/মাতামহের নামে ইস্যুকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্রের মূল কপি যা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মাননীয় মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও প্রতি স্বাক্ষরিত হতে হবে।
৬। উপজাতী কোটার ক্ষেত্রে প্রার্থীদের জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্রের মূলকপি।
৭। এমএস অফিস,ইন্টারনেট ও ট্রাবলস্যুটিং এর উপর নূন্যতম ৩ (তিন) সপ্তাহ মেয়াদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতার মূল সনদ সংগে আনতে হবে।
৮। সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত চারিত্রিক সনদপত্রের মূলকপি।
৯। সরকারি/ আধা-সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় চাকরিরত প্রার্থীদেরকে অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্রসহ পরীক্ষায় নির্ধারিত দিনে উপস্থিত হতে হবে।
১০। আবেদনপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ এর অনুকুলে যে কোন রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাংক হতে 'পরীক্ষা ফি' ৩০০/-(তিনশত) টাকা '১-২২১১-০০০০-২০৩১' নম্বর কোডে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমাপূর্বক চালানের মূলকপি আবেদনপত্রের সাথে সংযোজন করতে হবে।
নিয়োগ ও চাকরীর সুবিধা:
১। প্রশিক্ষণ সমাপ্তির পর ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের ১০তম গ্রেড (১৬০০০-৩৮৬৪০/-) টাকা ও অন্যান্য বেতন-ভাতাদিসহ পুলিশ বাহিনীতে সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ করা হবে।
২। বিনামূল্যে পোশাক সামগ্রী ঝুঁকি ভাতা, চিকিৎসা ভাতাসহ রেশন সামগ্রী স্বল্প মূল্যে প্রাপ্য হবে।
৩। প্রচলিত নিয়মানুযায়ী উচ্চতর পদে পদোন্নতিসহ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েব সাইটটি দেখুন... http://www.police.gov.bd/